মহামারীর দুই বছর পেরিয়ে উন্নয়নের হারানো গতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশায় নতুন অর্থবছরের জন্য রেকর্ড ঘাটতি রেখে যে বাজেট অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাব করেছেন, তার ১৫.৭ শতাংশ তাকে যোগাড় করতে হবে ব্যাংক থেকে ঋণ করে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার এই বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী কামাল।
এর মধ্যে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা তিনি রাজস্ব খাত থেকে যোগান দেওয়ার পরিকল্পনা সাজিয়েছেন, যা বাস্তবায়ন করা হবে বড় চ্যালেঞ্জ।
তারপরও তার আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকবে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় ঘাটতির এই পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ৫.৫ শতাংশ।
মহামারীর আগে প্রায় এক যুগ সরকার ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ৫ শতাংশের মধ্যে রেখে বাজেট প্রণয়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু মহামারী শুরুর পর থেকে বাড়তি টাকা যোগানোর চাপে গত দুই বছরের বাজেটে তা ৬ শতাংশ এবং ৬.২ শতাংশে পৌঁছায়। এবার তা কিছুটা কমে এলেও আগের মত ৫ শতাংশের মধ্যে থাকল না।