২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। ২০২০ সালে তাকে ‘ফাইন্যান্স মিনিস্টার অব দি ইয়ার ফর এশিয়া প্যাসিফিক অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০২০’-এর জন্য নির্বাচিত করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ম্যাগাজিন ‘দ্য ব্যাংকার’। তবে বিভিন্ন সময় অর্থনীতি নিয়ে তার বিভিন্ন মন্তব্য ও অতিরঞ্জন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি তিনি মন্তব্য করেন, ‘যারা বলছেন, দেশের অর্থনীতি ভালো নেই, তারা অর্থনীতিই বোঝেন না।’ যদিও দেশের অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচকই এখন নিম্নমুখী। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) সংশোধিত বাজেটের মাত্র ৬৪ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে বলে অর্থ বিভাগের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে। এ অনুযায়ী সংশোধিত বাজেট বাস্তবায়ন করতে হলে অর্থবছরের সর্বশেষ এক মাসে (জুন) বাজেটের ৩৬ শতাংশ বা ২ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয় করতে হতো সরকারকে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় বলছে, জুনে কী পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়েছে, এ পরিসংখ্যান পেতে এবার অনেক বিলম্ব হবে। ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো বাজেট বাস্তবায়নের চিত্র পেতে আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি বছরই ঘটা করে বড় আকারের বাজেট ঘোষণা করা হচ্ছে। কিন্তু এ বাজেট বাস্তবায়নের সক্ষমতা এখন ক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠছে। বাংলাদেশে ঘোষিত বা সংশোধিত বাজেটের তুলনায় সরকারের প্রকৃত ব্যয়ের মধ্যে বরাবরই ফারাক থেকে যাচ্ছে। এতে বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের দুর্বলতার দিকটিই উঠে আসছে। সর্বশেষ ২০২২-২৩ অর্থবছরে যখন বাজেট প্রস্তাব করা হয়, তখনই প্রশ্ন উঠেছিল; এ বাজেট বাস্তবায়নে অর্থ জোগাড় করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। অর্থমন্ত্রী সে সময় অর্থনীতিবিদদের এ আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন।