মাঝামাঝি সময়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) কাটছাঁটের পরও বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয়নি। অব্যবহৃতই রয়ে গেছে ৩৭ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। এডিপি বাস্তবায়নে অন্যান্য বাধার সঙ্গে নতুনভাবে যোগ হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে অর্থনৈতিক সংকট। তাই সার্বিকভাবে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বাভাবিক গতি ছিল না। এরই প্রভাবে কমেছে সংশোধিত এডিপি (আরএডিপি) বাস্তবায়ন হার। বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অগ্রগতি প্রতিবেদনে উঠে এসছে এসব তথ্য।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান যুগান্তরকে বলেন, গত অর্থবছরর নানা চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়েছে। আগের সমস্যার সঙ্গে কৃচ্ছ সাধনের বিষয় ছিল। তারও প্রভাব পড়েছে। তবে অর্থ ব্যয় করতে না পারায় জবাবদিহিতা নেই এটা পুরোপুরি সঠিক নয়। খরচ যে হয় না সেটি দৃশ্যমান, কিন্তু বিভিন্ন পর্যায়ে যে জবাবদিহিতা হয় সেটি অদৃশ্যমান থাকে। আমি বলতে পারি, খুব ঘটা করে না হলেও জবাবদিহিতার একটা বিষয় আছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অর্থবছরের শুরুতে বড় আকারের উন্নয়ন কার্যক্রম আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাস্তবায়ন শুরু হয়। এ সময় এডিপির আকার ধরা হয়েছিল দুই লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা। কিন্তু অর্থবছরের ছয় মাস যেতে না যেতেই সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ সময় সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) আকার দাঁড়ায় দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। এ সময় কাটছাঁট করে বাদ দেওয়া হয়েছিল ১৯ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা।