নতুন অর্থবছরের বাজেটে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্যের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে সব ধরনের সিগারেট ও তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামে করোনাভাইরাসের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে টিকে থাকা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা সামনে রেখে আওয়ামী লীগের তৃতীয় মেয়াদের দ্বিতীয় বছরে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য এ বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের নিম্ন স্তরের দশ শলাকার দাম ৩৯ টাকা ও তার বেশি এবং সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করা হয়েছে। মধ্যম স্তরের দশ শলাকার দাম ৬৩ টাকা ও তার বেশি, উচ্চ স্তরের দশ শলাকার দাম ৯৭ টাকা ও তার বেশি এবং অতি উচ্চ স্তরের দশ শলাকার দাম ১২৮ টাকা ও তার বেশি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ তিন স্তরের সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক ৬৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে যন্ত্রের সাহায্য ব্যতীত হাতে তৈরি ফিল্টারবিহীন বিড়ির পঁচিশ শলাকার দাম ১৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা কারার প্রস্তাব করা হয়েছে। বারো শলাকার দাম ছয় টাকা ৭২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৯ টাকা এবং আট শলাকার দাম চার টাকা ৪৮ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ছয় টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।