নির্বাচন আসন্ন। এই সময়টাতে আমাদের ব্যস্ত থাকার কথা যোগ্য প্রার্থীর খোঁজে এবং আগে যারা নিরাশ করেছে, তাদেরকে শাস্তি দিতে। কিন্তু এর পরিবর্তে আমরা প্রতিটি রাত পার করছি উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর আশঙ্কায়—কখন যেন সাদা পোশাকের পুলিশ বা তাদের বেশে অন্য কেউ জোর করে ঘরে ঢুকে 'গুম' করে দেয়। অপরাধ হলো, আমার কোনো বন্ধু বা আত্মীয় কোনো এক সময়, কোনো এক জায়গায় বিরোধী দলের কোনো এক মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন।
আবার আমাদের অফিস, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, দোকান, কারখানা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে, অন্যথায় হামলার ঝুঁকি নিয়ে এগুলো চালু রাখতে হচ্ছে।
সবচেয়ে কঠোর ভাষায় আমরা উভয়পক্ষের রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি দাবি জানাই, বর্তমানে যে রাজনীতি চলছে, তা থেকে বিরত থাকুন এবং এই অসহনীয় পরিবেশের অবসান ঘটান।
একের পর এক মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন হচ্ছে—বঙ্গবন্ধু টানেল, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ, মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে। সরকারের এসব অর্জনে আমরা সবাই অত্যন্ত গর্বিত।
কিন্তু এসব অর্জনের মর্ম পুরোপুরি বুঝে ওঠার আগেই দেশের অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমাদেরকে আতঙ্কিত করছে। আর এর জন্য দায়ী সরকার ও বিরোধী দল উভয়ই। এ ক্ষেত্রে সরকারের দায় বেশি। কারণ, বিরোধী দল রাস্তায় নেমে আন্দোলন ও সহিংসতা শুরুর আগে সরকার বিদ্যমান মতভেদ নিরসনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি।