অর্থ, রাজস্ব ও বাণিজ্য নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয় কতটুকু নৈপুণ্য অর্জন করেছে অথবা সাবালকত্ব অর্জন করেছে তার প্রমাণ মিলবে আগামী বাজেট প্রস্তাবে, যা জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হবে এ মাসের ৯ তারিখে। এতদিন গতানুগতিক বাজেট প্রণয়নে তারা ছিল অভ্যস্ত।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বর্তমান পদে আসীন হওয়ার পর তিনি বাজেটকে ‘ব্যবসায়ীবান্ধব’ বাজেটে পরিণত করেছেন। সুদ নীতিকে তাদের অনুকূলে সংশোধন করেছেন। সঞ্চয়পত্র বিক্রিকে নিরুৎসাহিত করেছেন। অপ্রদর্শিত টাকা প্রদর্শনের সুযোগ দিয়েছেন অল্প-স্বল্প করে। কর মওকুফ, কর অবকাশ, কর মুক্তি দিয়েছেন উদারহস্তে। সবই বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে। এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্বাধীনতার পর এমন অবস্থা আর কখনো ছিল না।
করোনা আক্রান্ত অর্থনীতি দুই বছর পর যখন দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল, ব্যবসা-বাণিজ্য ও জনজীবনে যখন স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছিল, ঠিক তখনই আমেরিকার উসকানিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। আজও তা চলছে। আমেরিকা রাশিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন হচ্ছে জ্বালানি তেল, সয়াবিন ও গম রপ্তানির প্রধান দুই দেশ। তাদের এই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতে সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।