টানা তিন নির্বাচনে নির্দিষ্ট কিছু আসনে শরিকদের ছাড় দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেসব আসনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর ভর করে নির্বাচনী বৈতরণি পার হয়েছিল জোটসঙ্গীরা। দলগুলোর সাংগঠনিক শক্তি না বাড়ায় দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে শরিকদের চাওয়া অনুযায়ী আসনে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। প্রধান দলের এই অনড় অবস্থানে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে জোটসঙ্গীদের। তবে তারা এখনো প্রকাশ্যে কিছু বলছে না।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসন ভাগাভাগি নিয়ে জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু আমাদের এক ধরনের কথা বলছেন; অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সকালে-বিকেলে আরেক ধরনের কথা বলছেন, এটা তো আমরা বুঝতে পারছি না।’
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, জোট শরিকেরা অন্যের ওপর ভর করে নির্বাচিত হলেও নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করেনি। আবার তাদের ছাড় দেওয়ায় আওয়ামী লীগের সংগঠন গড়ে উঠছে না। এমন পরিস্থিতিতে গত তিনবারের মতো এবারও জোটের নেতাদের নৌকায় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে অনীহা ক্ষমতাসীন দলের সভাপতি শেখ হাসিনার।