চলতি বছরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আদলেই জাতীয় নির্বাচনের নকশা সাজিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির নেতৃত্বাধীন সরকারের এ মেয়াদে নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্কের মধ্যেও গাজীপুর নির্বাচন উৎসবমুখর হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও সন্তোষজনক। বিএনপি এ সমমনা দলগুলো অংশ না নিলেও গাজীপুরের নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়েছে বলে এক ধরনের স্বীকৃতি পেয়েছিল। এ কারণেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর ডিজাইন অনুসরণ করতে চায় আওয়ামী লীগ।
দলটির নেতারাও বলছেন, গাজীপুর মডেলে নির্বাচন করার মূল লক্ষ্য তিনটি। প্রথমত ভোটের মাঠে উৎসব, দ্বিতীয়ত কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ঘটানো এবং তৃতীয়ত নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করা। তারা মনে করছেন, তাদের এ লক্ষ্য পূরণ করবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ার কৌশল।
কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপিকে বাইরে রেখে আর যাই হোক, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। তাছাড়া গাজীপুরের নির্বাচন ছিল স্থানীয় সরকারের একটি প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন। সেটার সঙ্গে জাতীয় নির্বাচনের মিল খোঁজা অবান্তর।
গত বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সেদিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ২৯৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। অন্যদিকে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সংখ্যা চার শতাধিক।