জোসেফ ক্য্যাম্পবেলের বই ‘দ্য হিরো উইথ এ থাউজেন্টস ফেসেস’। এক নেতার/বীরের হাজার মুখ- এরকম বাংলা করলে কি আমরা ধরতে পারবো না ক্যাম্পবেলের হিরোর চেহারা? তার এ হিরো যে গড, সেটা মিথিক পারম্পর থেকে উদ্ধার করা যায়। মিথিলজিক্যাল পরিপ্রেক্ষিতকে আমরা নানা ভাবে ব্যাখ্যা করতে পারি।
আমাদের সাংস্কৃতিক বীক্ষা হচ্ছে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। এবং অন্যান্য প্রধান ধর্মের ঈশ্বরও একক। কেবল হিন্দুইজমে ঈশ্বর বহু, বহু চেহারার, বহু রূপের। তাদের আবার রয়েছে দেবতার সঙ্গে দেবীও, আদ্যাশক্তির অধিকারী।
‘এ্যান ওপেন লাইফ’ এর বাংলা রূপান্তর করেছেন আমার বন্ধু আমিনূল ইসলাম ভূইয়া। মাইকেল টমসের সঙ্গে আলাপচারিতার সংকলন এই বই। এই বইয়ের সাক্ষাৎকারে ক্যাম্পবেল বলেছেন ‘মিথ হচ্ছে উপমা। মিথলজির চিত্রকল্প আমাদের ভেতরকার আধ্যাতিক শক্তির প্রতীক। তার মানে হচ্ছে মিথ উপমা, চিত্রকল্প, প্রতীক। মিথ আসে জীবন-পদ্ধতি থেকে।
জোসেফ ক্যাম্পবেলকে যদি মিথলজি ব্যাখ্যার গুরু মানি তাহলে তার এই ব্যাখ্যাগুলো আমাদের ভেতরের সত্য ও সম্পদ আবিষ্কার করতে সাহায্য করতে পারবো।
২.
সত্য কী অ্যাবসুলিট কোনো বিষয়? শাদা চোখে সেটাই মনে হয়। কিন্তু সত্য বলে কোনো কাঠামো নেই। কেবল তা উপলব্ধি করা যায়। আমরা চিন্তা করলেই সত্যের নানা প্রতীকী ভাষ্য, রূপক ও রূপকায়িত সত্য কল্পনা করতে পারি। আবার ওই কল্পিত সত্যই চিত্রকল্প।