বরিশাল অঞ্চলে একটি প্রবাদ আছে এরকম: ‘তারিখ দিয়া মারামারি হয় না’। অর্থাৎ বড় কোনও ঘটনা পূর্বনির্ধারিত সময়ে নাও হতে পারে। বিশেষ করে রাজনৈতিক হুঁশিয়ারি বা কোনও দাবি আদায়ের সময়সীমা অনেক সময় রাজপথেই মারা যায়। যেমন, ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের ৩০ এপ্রিলের ডেটলাইন নিয়েও রাজনীতিতে অনেক জল ঘোলা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই তারিখে বড় কোনও ঘটনা না ঘটায় আওয়ামী লীগের বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ ৩০ এপ্রিলকে ‘এপ্রিল ফুলের’ সঙ্গে তুলনা করেছিল।
গত বছরের শেষ দিকে মাঠের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপির তরফেও ১০ ডিসেম্বরের একটি ডেটলাইন দেওয়া হয়েছিল। বিশেষ করে বিএনপির তৃণমূলে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল এবং অনেকেই এটি বিশ্বাস করেছিলেন যে, ১০ ডিসেম্বর হয়তো সরকারের পতন হয়ে যাবে। কিন্তু দেখা গেলো এটিও ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’ প্রবাদে পরিণত হয়েছে। এবার তারা সরকার পতনের এক দফা দাবি আদায়ের জন্য তাদের নতুন ডেটলাইন ২৮ অক্টোবর।
গত ১৮ অক্টোবর বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ থেকে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ হবে। ওই সমাবেশ থেকেই তাদের ‘মহাযাত্রা’ শুরু হবে এবং সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তারা আর থামবেন না। তবে প্রায় একই সময়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশ থেকে বিএনপির কর্মসূচি সফল হতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মহাযাত্রা নয়, এটি হবে বিএনপির পতনযাত্রা’।