বাংলাদেশের জন্য ২০২৩ সালের সংসদ নির্বাচনের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী নির্বাচনকেন্দ্রিক ঘটনাবলির ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে বাংলাদেশ কি অধিকতর গণতান্ত্রিক ধারায় আগাবে নাকি ল্যাংড়া পা খাদে পড়বে আবার? এদিকে যে আলামত দেখা যাচ্ছে তা খুব একটা স্বস্তির নয় বলে মনে করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- আগামী নির্বাচন ইস্যুতে আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশ যেন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে। পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশের উন্নতি না হলে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি হতে পারে। যার স্পষ্ট ইন্ডিকেটর হচ্ছে সম্প্রতি ১৪ জন রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যানের সুপারিশ। যা পাবলিস করা হয়েছে। মনে করা হয়, নানান কারণে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমেরিকার যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ আছে। যে কারণে তারা সরব ও তৎপর। এদিকে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নিকটতম প্রতিবেশী এবং ৭১-এর বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের মোটেই উচ্চবাচ্য নেই। তবে গভীর পর্যবেক্ষণ আছে তা সহজেই অনুমেয়। এদিকে বাংলাদেশের দুই রাজনৈতিক শক্তি মরণপণ চেতনায় মুখোমুখি। যে কোনো সময় যুদ্ধ দৃশ্যমান হতে পারে। আর কবর যেন একটাই। সামগ্রিক অবস্থার আলোকে আমরা বিশেষ এক পরিস্থির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছি। তা হতে পারে সর্বনাশা খাদ অথবা উত্তরণের স্বর্ণদ্বার।