বান্দরবানের মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাঁচ ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ধানক্ষেত, কলাবাগান, আমবাগান, রাবার বাগানসহ পাহাড়ি টিলাতে করা নানা প্রজাতির বাগানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন লতাজাতীয় সবজি ক্ষেতের ক্ষতি ব্যাপক।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ঝড়ো ও দমকা হাওয়া চলাকালে উপজেলার ৫ ইউনিয়ন এলাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও বৃষ্টির কারণে ফসল মাটিতে নুয়ে পড়ায় এবং কাটা ধান ও গো খাদ্য ভিজে যাওয়ায় কৃষক এখন দুশ্চিন্তায় পড়ছে। পাশাপাশি ধান ও সবজি ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে ক্ষতি থেকে পরিত্রাণের জন্যে সব ধরনের আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া অনেকের কৃষি পণ্যের ক্ষতির কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, কৃষি প্রধান এই উপজেলায় সবজি, কলা আর ধান এই ৩ কৃষি পণ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এবং ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন কৃষি পণ্যের ক্ষতির কথা জানান। নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, মোখার কারণে তার এলাকায় কৃষি ক্ষেতসহ শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মকালীন সবজি, কলাগাছ ও ধান ক্ষেতের ক্ষতি বেশি।