রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর অংশ হিসেবে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধিদলের কক্সবাজার সফর শিগগিরই হচ্ছে না। ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের রাখাইন উপকূলে আঘাত হানতে পারে—এমন বিবেচনায় আপাতত সফরটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে। এর ফলে দুবার ব্যর্থ হওয়ার পর তৃতীয় দফায় প্রত্যাবাসনের চেষ্টা নিয়ে আবারও অনিশ্চয়তা তৈরি হলো।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠকে মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের সফর পেছানোর সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে পররাষ্ট৶ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (মিয়ানমার অনুবিভাগ) মিয়া মো. মাইনুল কবির, ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এবং মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়ো মোয়ে নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
চীনের কুনমিংয়ে গত ১৮ এপ্রিল চীন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ মাসে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ১৭৬ জন রোহিঙ্গাকে রাখাইনে পাঠানোর কথা ছিল। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে তাঁদের রাখাইনে ফেরত পাঠানো হবে। এরপর এ বছর আরও পাঁচ ধাপে ছয় হাজার রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন হবে রাখাইনে।