বঙ্গবাজার: জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সিন্ডিকেট

ডেইলি স্টার শাহানা হুদা রঞ্জনা প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ২০:০৯

সেদিনের সেই কিশোর ছেলে জসীম ব্যবসা করতে করতে এখন ৪টি দোকানের মালিক। টেলিফোন ইন্ডেক্সে 'বঙ্গ জসীম' নামে তার নাম লেখা আছে। সারাদিনে ভয়ে ওকে ফোন দেইনি। সন্ধ্যায় ফোন করে জানলাম ঈদ উপলক্ষে প্রায় ২ থেকে আড়াই কোটি টাকার কাপড় তুলেছিল ৪টি দোকানে। এখন সব শেষ। একটা সুতাও বাঁচাতে পারেনি। তার সঙ্গে জড়িত সবাই পথে বসে গেছে। কাঁদতে কাঁদতে বললো, 'শুধু দোয়া করেন আমাগো জন্য। আর কানতেও পারতাছি না।'


এক যুগেরও বেশি সময় ধরে বঙ্গবাজারে নিয়মিত কেনাকাটা করি আমরা। জসীমকে দেখেছি সেখানে একটা দোকান নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে। ক্রমে তিনি আমার ভাইয়ের মতো হয়ে গেছেন। তার মারফতে ওই মার্কেট থেকে গরম কাপড়, ছেলে মেয়েদের গেঞ্জি, শার্ট, সালোয়ার কামিজ, শাড়ি, প্যান্ট, ব্যাগ, জুতা সবকিছু কিনি। কারণ এটা হোলসেল মার্কেট, দাম কম এবং মান ভালো।


সকালে ঘুম থেকে উঠে বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতার ছবি দেখে মনটা হু হু করে উঠলো। বারবার চোখের সামনে সেখানকার দোকানগুলো, দোকানি ও সুন্দর কাপড়গুলোর কথা ভেসে উঠলো। আহা তাদের কী অবস্থা এখন। সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসলো অসংখ্য মানুষ ও পরিবার।


এই অসহায় মানুষগুলো নিজেদের টাকা খাটিয়ে, ঋণ করে, শ্রম দিয়ে ব্যবসা করে। অন্যদিকে তাদের লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায়। তারা যখন ধ্বসে পড়ে, যখন এদের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়, তখন কিন্তু ওই সিন্ডিকেট, যারা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে মিষ্টির ভাগটা খাচ্ছিল, তারা গা ঢাকা দেয়। কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি পুড়ে গেলেও, তাদের শরীরের একটি লোমও পোড়ে না।


বঙ্গবাজার নিয়ে সারাদিন নানান উৎকণ্ঠা ও কথাবার্তার পর সন্ধ্যায় তুখোড় সাংবাদিক জায়েদুল আহসান পিন্টু তার স্ট্যাটাসে লিখলেন, দক্ষিণ সিটি মেয়র তাপস বলেছেন 'বঙ্গবাজার মার্কেট ২০১৯ সালে সিটি কর্পোরেশন "ঝুঁকিপূর্ণ" ঘোষণা করে। তখন নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু সেইসময় মার্কেট সমিতি নতুন ভবন নির্মাণে স্থগিতাদেশ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে এবং হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেন।'

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us