অনেকটা বিনোদিত কাণ্ডই ঘটাল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মুখস্থ নোট বা সিøপ পড়ার মতো গত সোমবার জানিয়ে দিল, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন। ৩০০ আসনেই ভোট হবে আগের মতো কাগজের ব্যালটে। অথচ ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক থাকলেও আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিরতিহীনভাবে জোর গলায় জানিয়ে আসছিল ইসি। এ জন্য নতুন ২ লাখ ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছিল।
এখন গোলমালটা ঘটল কোথায়? জানানো হয়েছে অর্থনৈতিক দুরবস্থার কথা। ইসি সচিব গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ইসির কর্মপরিকল্পনায় সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলা হলেও মেশিনগুলো মেরামতের জন্য প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা দরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই টাকা চাওয়াও হয়েছিল। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এত টাকা নির্বাচন কমিশনের কাছেও নেই। তাই প্রকল্প বাতিল। কী দাঁড়াল অর্থটা? অর্থই যত অনর্থের কারণ? ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক মতানৈক্য সিটি করপোরেশনেও আছে। সেখানে কেন ইভিএমে ভোট হবে? ওখানে যে পরিমাণ মেশিন লাগবে, সেগুলো ঠিক করতে টাকা লাগবে না? যৌক্তিক এসব প্রশ্নের জবাব সোমবার ছিল না ইসি সচিবের কাছে।