সাংবাদিক শামসুজ্জামান জামিনে কারামুক্তি পেয়ে প্রথম আলো কার্যালয়ে সহকর্মীদের মাঝে ফিরেছেন। তিনি বলেছেন, বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। সত্য প্রকাশের ধারা বজায় রাখবেন, সঠিক সাংবাদিকতা করে যাবেন।
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে মুক্তি পান শামসুজ্জামান। কারামুক্তির পর তিনি কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে আসেন।
শামসুজ্জামানকে তাঁর সহকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, সত্য প্রকাশের যে ধারা, তা সামনেও বজায় থাকবে। তিনি বলেন, ‘আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত হইনি। তবে দুটো জায়গায় খারাপ লেগেছে। একটা মায়ের কান্নার ছবি দেখে, অন্যটি মতি ভাইকে (প্রথম আলো সম্পাদক) আদালতে দেখে। তাঁর তো অনেক বয়স হয়েছে।’
সিআইডি, পুলিশ, কারাগার—সব জায়গাতে ইতিবাচক মনোভাব পেয়েছেন জানিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, ‘প্রথম আলো পরিবারের সন্তান হিসেবে, ছোট ভাই হিসেবে যেন এখানে থাকতে পারি এবং সঠিকভাবে সাংবাদিকতা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।’ তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রথম আলোর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছেন। পড়াশোনা শেষে প্রথম আলো ছেড়ে পরপর বেশ কয়েকটি চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ঘুরেফিরে তিনি প্রথম আলোতেই এসেছেন। কারণ, এটা তাঁর কাছে একটা পরিবার।
শামসুজ্জামানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, আজ এই সময়টা খুবই আনন্দঘন। সামনে আরও পরীক্ষা আছে। শামস (শামসুজ্জামান) পরীক্ষায় পাস করেছেন। শামসের অনেক গুণমুগ্ধ বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। সবাই শামসের সঙ্গে ছিলেন। দেশের ভেতরে–বাইরে বড় সমর্থন ছিল। প্রথম আলো সম্পাদক বলেন, ‘মায়ের কাছে শামস ফিরে যাবে, এটাই সবচেয়ে বড় পুরস্কার। তার মা ধৈর্য, সাহস, শক্তি জুগিয়েছেন।’
শামসুজ্জামানকে শুভেচ্ছা জানাতে প্রথম আলো কার্যালয়ে এসেছিলেন দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম। তিনি বলেন, ‘আমরা মূল্যবোধসম্পন্ন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। স্বাধীন ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। আমরা কারও পক্ষে না, বিপক্ষেও না; আমরা দেশের পক্ষে। সেই সাংবাদিকতা করতে গিয়ে শামসের বিপদ নেমে এসেছে। এটা পেশারই অংশ।’