আগামী অর্থবছরে (২০২৩-২৪) তিন হাজার ৯৫৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা নির্বাচনি বাজেট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় পরিষদ নির্বাচনে এ টাকা ব্যয় হবে। নির্বাচনসহ ইসির অন্যান্য খাত মিলিয়ে আগামী অর্থবছরে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে ইসির এ বরাদ্দ চাওয়া হয়। ওই বৈঠকে ইসির সচিব মো. জাহাংগীর আলম, অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। যদিও অর্থ মন্ত্রণালয় ওই টাকা দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি দেয়নি। এ পরিমাণ টাকা চাওয়ার বিষয়ে যৌক্তিকতা দেখাতে ইসিকে অনুরোধ জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিস অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদসহ অন্যান্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৩ হাজার ৯৫৪ কোটি ৪০ লাখ ৫ হাজার টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে নির্বাচন কমিশনের বাজেট নিয়ে অর্থমন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা যে টাকা চেয়েছি, তা আরেকটু পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। কোন কোন খাতে কত টাকা ব্যয় করা হবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দিতে বলেছে মন্ত্রণালয়।’
তিনি বলেন, ‘এটি একটি বড় বরাদ্দ। সেই জন্য হঠাৎ করে এই বিষয়ে সদ্ধিান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সীমাবদ্ধতা আছে। আগামী অর্থবছরের জন্য নির্বাচনি ব্যয় ইভিএম মেরামতসহ এই টাকা চাওয়া হয়েছে। তা না-হলে বাজেট আরেও কম ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে তারপর আবারও অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। যাচাই-বাছাই করে টাকা কমানোর কোনেও খাত আছে কিনা সেটি দেখে সমন্বয় করা হবে।’