প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের রাজনৈতিক পাঠ

প্রথম আলো কামাল আহমেদ প্রকাশিত: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৪:১৭

ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে, তার প্রকাশিত বিবরণে দুই প্রতিবেশীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের প্রকৃত রূপ আবারও প্রতিফলিত হয়েছে। আর দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের এক দিন পর প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতেও রাজনৈতিক অঙ্গীকার ছাড়া আর কিছু পাওয়া গেল না।


বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা ও আতিথেয়তা জানানোর পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার প্রশ্নে আলোচনার পর সই হয়েছে সাতটি সমঝোতা স্মারক। যেসব বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, সেগুলো হলো অভিন্ন নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহার, ভারতে বাংলাদেশের রেলকর্মীদের প্রশিক্ষণ, বাংলাদেশ রেলওয়ের আইটি সিস্টেমে ভারতের সহযোগিতা, ভারতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে ভারতের কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) ও বাংলাদেশের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে সমঝোতা, মহাকাশপ্রযুক্তিতে সহযোগিতা এবং প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মধ্যে সম্প্রচার সহযোগিতা।


এ সফর ঘিরে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বেশ কয়েক দিন ধরেই নানা ধরনের বিশ্লেষণ ও অভিমত ছাপা হয়েছে, যেগুলোর মূল কথা ছিল ভারতের উচিত বাংলাদেশকে হতাশ না করা। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং তা সম্প্রসারণ ও গভীরতর করার কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে এসব ভারতীয় পর্যবেক্ষক মূলত তাঁর প্রতি আস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর চেষ্টা করেছেন।


ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় জয়দ্বীপ সাইকিয়া ‘শেখ হাসিনা ভিজিট: হোয়াই ইন্ডিয়া শুড বি গ্রেটফুল টু বাংলাদেশ পিএম’ শিরোনামে লিখেছেন মৌলবাদ ও ভারতীয় বিদ্রোহীদের দমনে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে সম্পর্ক গাঢ় করায় দিল্লির উচিত বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া। ফার্স্ট পোস্টে অভিজিৎ মজুমদার অর্থনৈতিক সুবিধা দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, শেখ হাসিনার সফরে দৃশ্যমান ও অর্থবহ কিছু দেওয়া হলে তা শুধু তাঁকেই সাহায্য করবে না, ভারতের ভাবমূর্তিরও কাজে লাগবে, যা বাংলাদেশে এখন আক্রমণের মুখে।


ডেকান হেরাল্ড পত্রিকায় ৪ সেপ্টেম্বর পারুল চন্দ্র লিখেছেন, বাংলাদেশে ২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে সম্ভবত তাঁর শেষ সফরে শেখ হাসিনার প্রয়োজন হবে তাঁর দেশের মানুষকে দেখানো যে এতে উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তি আছে। পরদিন অনির্বাণ ভৌমিক ওই একই পত্রিকায় লিখেছেন, নয়াদিল্লির প্রতি বাড়াবাড়ি রকম বন্ধুত্বের জন্য বিরোধীদের কাছে সমালোচিত আওয়ামী লীগের আগামী নির্বাচনে সাফল্যের জন্য বাড়তি কিছুর প্রয়োজন রয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us