বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টন প্রশ্নে দ্বিপাক্ষিকভাবে অগ্রগতি না হওয়ায় এখন আন্তর্জাতিক তৃতীয় কোন পক্ষের সহযোগিতা নেয়া উচিত।
বাংলাদেশ এখনই দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বাইরে বিকল্প বা অন্য কোন পথে যেতে রাজি নয়।
দুই দেশের অভিন্ন নদী আছে ৫৪টি । কিন্তু গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তির ২৬ বছর পর আর মাত্র একটিই নদীর পানি নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে - যেটি হলো কুশিয়ারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবারের ভারত সফরে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।
এর পর সেই পুরনো প্রশ্নটিই উঠছে আবার : দুই দেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশন প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরেও অভিন্ন নদীগুলোর পানি বন্টন সমস্যার সমাধান হচ্ছে না কেন, জটিলতা কোথায়?
এ নিয়ে এখন বাংলাদেশে চলছে নানা আলোচনা।
দ্বিপক্ষিকভাবে কেন সমাধান হচ্ছে না?
তিস্তা নদীর পানি বন্টনের যে চুক্তি ঝুলে রয়েছে এক যুগেরও বেশি সময় ধরে, সেটি এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আলোচ্য সূচিতেও ছিল না।
ঢাকায় কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে একান্ত বৈঠকে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।
বিষয়টাতে নতুন করে কোন অগ্রগতি হয়নি, সেটি পরিস্কার।