বিদ্যুতের ঘাটতি কমাতে আজ বুধবার টানা নবম দিনের মতো দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হচ্ছে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯ জুলাই থেকে দেশজুড়ে লোডশেডিং শুরু হয়। আজও সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং হবে।
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) আজ লোডশেডিং শুরু করবে সকাল ১০টায়, চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। একই সময় ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডও (ডেসকো) লোডশেডিং শুরু করছে।
আজ কোথায়-কখন লোডশেডিং হবে, তার তালিকাও দিয়ে দিয়েছে সংস্থা দুটি। এই প্রতিবেদনের সঙ্গে ডিপিডিসি ও ডেসকোর তালিকাভুক্ত এলাকার লোডশেডিংয়ের সময়সূচি যুক্ত আছে।
বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় ১৮ জুলাই। এই লোডশেডিং হতে পারে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত। আর এখন থেকে সপ্তাহে এক দিন বন্ধ থাকবে পেট্রলপাম্প। খরচ সাশ্রয়ের জন্য ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই দিন সকালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
জ্বালানিসংকটের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার গ্রাহকদের কাছে জ্বালানি তেল ডিজেল ও অকটেনের বিক্রি সীমিত করেছে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত প্রতিষ্ঠান ট্রাস্ট ফিলিং স্টেশন। গতকাল দেখা যায়, মোটরসাইকেলে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকার অকটেন ও গাড়িতে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকার ডিজেল বা অকটেন বিক্রি হচ্ছে। জ্বালানি সাশ্রয়ে এমনটি করা হচ্ছে বলে জানান ট্রাস্টের কর্মীরা।
তবে ট্রাস্ট ছাড়া রাজধানীর অন্য চারটি ফিলিং স্টেশনে আগের মতোই জ্বালানি তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো যেভাবে জ্বালানি তেলের বরাদ্দ কমিয়ে দিচ্ছে, তাতে শিগগিরই বিক্রি সীমিত অথবা স্টেশন একটি নির্দিষ্ট সময় বন্ধ রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
আজ ডেসকো ও ডেসার এলাকায় লোডশেডিংয়ের সূচি—