পদ্মাকাহন: আমাদের স্বপ্ন সেতু

বণিক বার্তা বেনজীর আহমেদ প্রকাশিত: ২৪ জুন ২০২২, ০৮:৫৪

গোল্ডেন গেট ব্রিজ, সানফ্রান্সিসকো। স্কুলের নিচের ক্লাসে বইয়ে এক ইংরেজি কবিতা পড়েছিলাম এ ব্রিজ নিয়ে লেখা। বইয়ের এক পাতার মাঝবরাবর অর্ধেকে ব্রিজটির দম্ভপূর্ণ ছবি, ডান পাশে কবিতাটি ছাপা। স্কুলবয়সী এক শিশুর মনে আঁকিবুঁকি জিজ্ঞাসা—কোথায় আমেরিকা? কোথায় সানফ্রান্সিসকো? কেমন সেটা?


’৭৬ সালে ঢাকা এসেছি, পরিচিত এক বড় ভাই বিমানে চাকরি করতেন। তখন বিমানবন্দর তেজগাঁও। একদিন তার কাছে যাই বিমানবন্দর দেখব, সেই সঙ্গে বিমানের ওঠানামা। বড় ভাই ট্রানজিটে নিয়ে গেলেন, স্ন্যাকস করবেন। খেতে খেতে পরিচয় এক আমেরিকান ট্রানজিট যাত্রীর সঙ্গে। আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কখনো আমেরিকা গিয়েছ? আমি বললাম, না। তিনি বললেন, আসবে একসময়। আমি বললাম, যাব সানফ্রান্সিসকো। তিনি বললেন, কেন? আমি বললাম, গোল্ডেন গেট ব্রিজ দেখব। আইফেল টাওয়ার কি ফ্রান্সকে পরিচিতি দেয় নাকি ফ্রান্সকে আইফেল টাওয়ার? স্ট্যাচু অব লিবার্টি, টুইন টাওয়ার, পেট্রোনাস টাওয়ার এগুলো মডার্ন মার্ভেল, তাদের দেশকে পরচিতি দেয়, তার শৌর্যবীর্য উত্কর্ষের মহিমা ঊর্ধ্বে তুলে ধরে।


প্রমত্তা পদ্মার বুকে দানবাকৃতি সেতু হবে, পদ্মা দুই পারের মানুষকে একাকার করবে, দেশকে বিভাজিত ব-দ্বীপের বিভক্তি থেকে পরিত্রাণ দেবে, সম্ভব? ভেবেছে কি কেউ? আশির দশকে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আমি দক্ষিণের জেলা গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসতাম তখন যাওয়া-আসার সবচেয়ে ভালো সময় ছিল বর্ষাকাল। আমরা বেলা ১১টার দিকে সহপাঠী সিনিয়র-জুনিয়র মিলে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া ২০-২৫ জনের একটি দল হইহই করে লঞ্চে উঠতাম। সন্ধ্যা পর্যন্ত তুমুল আড্ডা, লঞ্চের আপার ক্লাস, সামনে-পেছনে। কেউ কেউ তাস নিয়ে বসে যেত। তারপর রাত নেমে এলে নদীর ঠাণ্ডা বাতাস খেতে খেতে ঘুম এসে যেত। লঞ্চে রান্না খুব সুস্বাদু ছিল নাকি বাড়ন্ত বয়সের দুর্নিবার ক্ষুধা, যে কারণেই হোক খাবার খুব মজা ছিল। খেয়েই ঘুম। সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমে জিজ্ঞাসা করতাম মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টির কাছাকাছি পৌঁছলাম কিনা। কাঠপট্টির কাছাকাছি পৌঁছলেই সেখান থেকে সদরঘাট ৩০-৪০ মিনিটের দূরত্ব। আর সদরঘাট মানেই তখন ঢাকা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us