ক্যালরি কম গ্রহণ, প্রোটিন ও সবজি বেশি খাওয়া এবং কার্বোহাইড্রেইট এড়ানো- ওজন কমাতে এরকম প্রচলিত পদ্ধতিগুলোর সাথে আরেকটি জনপ্রিয় ধারণা হল- ‘ডায়েট’ খাবার গ্রহণ।
বাজারে পাওয়া যায় এমন ‘ডায়েট’ পানীয় বা খাবার ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার বিষয়ে দাবি করা হলেও পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই ধরনের খাবার বরং খিদা বাড়ায়। ফলে দিন শেষে খাওয়া হয় বেশি।
ডায়েট পানীয়
সাধারণ কোমল পানীয়তে প্রচুর চিনি থাকে। যে কোনো এক গ্লাস পরিমাণ কোমল বা সোডা পানীয় থেকে মিলতে পারে ২০০ ক্যালোরি।
এই তথ্য জানিয়ে ইটদিস নটদ্যাট ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে মার্কিন পুষ্টিবিদ মেলিসা রিফকিন বলেন, “সেই হিসেবে ডায়েট পানীয় যুক্তি সঙ্গত পছন্দ মনে হলেও, ফলাফল কিন্তু উল্টো হয়।”
‘জিরো-ক্যালরি’ বা কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করে ডায়েট পানীয়তে মিষ্টি স্বাদ দেওয়া হয়।
লস অ্যাঞ্জেলেস’য়ের ‘ইউনিভার্সিটি অফ সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া’র ‘কেক স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের গবেষকদের করা গবেষণায় বলা হয়, “কৃত্রিম চিনি গ্রহণের ফলে মস্তিষ্কের যে অংশ ক্ষুধা ও তৃপ্তি বোধ নিয়ন্ত্রিত হয় সেটা বেশি উদ্দিপ্ত হয়।”
তাই ক্যালোরি গ্রহণ না করা হলেও ডায়েট সোডা পানীয় পান করার ফলে দেহ যেভাবে সাড়া দেয় তাতে খিদা বাড়ে আর মিষ্টি খাওয়ার চাহিদা সৃষ্টি হয়।
এই কারণে কৃত্রিম চিনি ও মিষ্টি দেওয়া খাবার ওজন কমানোর লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়।
কম চর্বিযুক্ত দই
‘লো ফ্যাট ইয়োগার্ট’ থেকে বেশিরভাগ প্রাকৃতিক চর্বি সরিয়ে ফেলা হয়। যে কারণে কম ক্যালরির খাবার হিসেবে এটা জনপ্রিয়। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার এই দইতে চিনি বা কৃত্রিম মিষ্টি যুক্ত করে।
‘ইউনিভার্সিটি অফ জর্জিয়া’র ‘কলেজ অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন’য়ের করা গবেষণায় জানানো হয়- কম ক্যালরি হলেও বাড়তি চিনি যোগ করার কারণে এই ধরনের দই ওজন বাড়ায়। আর কৃত্রিম চিনি যুক্ত করলে বাড়ে ক্ষুধা।”
তাই রিফকিন বলেন, “এরচেয়ে সাধারণ টক দই খাওয়া ভালো সাথে। আর ফল মিশিয়ে খেতে পারলে মিষ্টি খাওয়ার চাহিদাও কমবে।”