ভারতে নেসলে কোম্পানি তাদের ম্যাগি নুডুলসের ১১০ গ্রামের প্যাকেট থেকে নুডুলস কমিয়ে সেটা ৭০ গ্রামের প্যাকেট করেছে। ১১০ গ্রামের প্যাকেটের দাম ছিল ১০ টাকা। সেটা ১২ টাকা করেছে। অন্যদিকে দাম না বাড়িয়ে হলদিরাম কোম্পানি তাদের আলু ভুজিয়া’র ১০ টাকার প্যাকেট থেকে ২৩% আলু ভুজিয়া কমিয়ে নিয়েছে। ঠিক এমনই এইচ ইউ এল কোম্পানি ‘ভীম’ ডিসওয়াশ বারের দাম ঠিক রেখে ওজন কমিয়েছে ১৩%। একই কাজ করছে ডাবর কোম্পানিও তাদের পণ্যগুলোতে।
নেসলে কোম্পানির মার্কেট রিসার্চার বলছেন, দাম বাড়ালে মানুষ কিনতে পারবে না। তাই তারা দাম ঠিক রেখে বা সামান্য বাড়িয়ে সব ক্ষেত্রে পণ্যের পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছে। তারপরেও তাদের হিসাবে ইতোমধ্যে গ্রাম এলাকায় ক্রেতার হার গত জানুয়ারি থেকে মার্চ অবধি কমে গেছে ৫.৩% । আগামী জানুয়ারি আসতে আসতে এটা কমে দাঁড়াবে ১১.৯%। অন্যদিকে গ্রাম ও শহরে সাধারণ মানুষ যারা কিনছে তাদের কারও পক্ষে বেশি টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। তাই বাধ্য হচ্ছে তারা প্যাকেটে পণ্যের পরিমাণ কমিয়ে দিতে।
এই হচ্ছে নিত্যপণ্যের বড় কোম্পানিগুলোর প্রোডাক্ট বিক্রির একটা চিত্র ভারতে। যার থেকে বোঝা যাচ্ছে সেখানে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে গেছে এবং আরও কমে যাবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের এই পরিবারগুলোতে চাল, ডাল, আলু, তেল, ডিম, মাছ ও মাংস শতকরা কত হারে কমেছে– তার কোনও হিসাব এখনও সেভাবে মিডিয়ায় আসেনি। তবে কমে যে গেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।