দেশের অর্থনীতি এখন একটা বড় চাপের মধ্যে আছে। দ্রব্যমূল্য যে হারে বাড়ছে সে হারে আয় বাড়ছে না সাধারণ মানুষের। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে কমবেশি সবাই। এমনই এক পরিস্থিতিতে ঘোষিত হলো ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট। বাংলাদেশের বাজেট নিয়ে সব সময় একই ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় সরকার ও বিরোধী দলের কাছ থেকে। অর্থনীতিবিদ এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের মতামত দিয়ে থাকে বরাবর। কিন্ত বাজেটে চমক থাকে না, থাকে না উল্লেখ করার মতো নতুন কিছু। সাধারণ মানুষ বাজেট যেভাবে দেখে তা হলো, কোন কোন দ্রব্য বা পণ্যের দাম বাড়ছে বা কমছে। বাংলাদেশের বাজারে যে পণ্যের দাম বাড়ে তা আর কমে না। নানা অসিলায় দ্রব্যের দাম বেড়ে যায় অনেক গুণ। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের ফলে এই খবর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে অনেকটা সিন্ডিকেটের মতো বাজারের দখল থাকে একশ্রেণির ব্যবসায়ীদের কাছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ খাতে নতুন অর্থবছরে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা বাজেটের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও জিডিপির ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৬১৪ কোটি টাকা। সে হিসাবে এই খাতে বরাদ্দ বেড়েছে ৫ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১১ লাখ উপকারভোগী বাড়ানো হচ্ছে।
বাংলাদেশে সামাজিক সুরক্ষা খাতের আওতায় ১২৩টি কর্মসূচি চলমান রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে সরকারের ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলোর মধ্যে ৪টি কর্মসূচিতে দেওয়া হচ্ছে নগদ ভাতা এবং ১১টিতে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। নতুন বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক কল্যাণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসৃজন, অবসর ও পারিবারিক ভাতা এবং অন্যান্য এই মোট ছয় খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ৫৭০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার কোটি টাকায়। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সামাজিক সুরক্ষা খাতে মোট ছয়টি উপখাত রয়েছে। এর মধ্যে ‘খাদ্য নিরাপত্তা’ উপখাতের আওতায় রয়েছে ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি।