প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থনৈতিক সংকটের স্বীকৃতি আছে। তবে সমস্যার মূল উৎস হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে বৈশ্বিক খাত। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রত্যাশা নেই।
এ ছাড়াও সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক নিম্নমুখী থাকলেও মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধির (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। এসব লক্ষ্যমাত্রা রাজনৈতিক উদ্দীপনার পরিসংখ্যান মনে হয়েছে।
ব্যয়ের কাঠামোতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে কর কাঠামোতে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, তার বেশিরভাগই সমর্থনযোগ্য।
অর্থনৈতিক বিবেচনায়, বাজেট বিশ্লেষণে যে বিষয়টি সামনে আসে তা হলো, এবার অর্থমন্ত্রী স্বীকার করলেন, অর্থনীতিতে সমস্যা আছে। তবে তিনি সমস্যার মূল উৎস দেখছেন বিশ্ব-অর্থনীতিতে। এর মধ্যে মূল্যস্ফীতির পুরোটাই বিদেশের সঙ্গে মিলিয়ে দেখছেন। তবে কর আদায় কম, সঞ্চয় কমে যাচ্ছে-এগুলোতে তিনি তত গুরুত্ব দেননি। এর ফলে এবারের বাজেটে সমন্বিত কার্যক্রম দেখিনি।