নৌপথে কাঠামোগত হত্যার নতুন পদ্ধতি?

সমকাল শেখ রোকন প্রকাশিত: ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৪৩

বাংলাদেশে নৌপথ ও নৌ-নিরাপত্তা কি ব্যস্তানুপাতিক? গত দুই দিন ধরে সুগন্ধা নদীতে জ্বলতে থাকা নৌযানে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে দেখতে এবং বেঁচে যাওয়া মানুষের অমানুষিক অভিজ্ঞতার কথা শুনতে শুনতে প্রশ্নটি মাথায় ঘুরছিল। স্বাধীনতার পর থেকে একদিকে যেমন নৌপথের দৈর্ঘ্য কমে এসেছে, অপরদিকে তেমনই বেড়েছে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা।


স্বাধীনতার পর ২৪ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ নৌপথ কমতে কমতে এখন বর্ষাকালেও কমবেশি ৬ হাজার কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। শুকনো মৌসুমে কমে দাঁড়ায় তা ৪ হাজার কিলোমিটারে। আর গত ৫০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি দুর্ঘটনায় প্রায় ২১ হাজার নৌযাত্রী প্রাণ হারিয়েছে। আহতদের সংখ্যা ও সম্পদহানির হিসাব ধরলে ক্ষয়-ক্ষতির চিত্র আরও ভয়বাহ। অথচ ঐতিহাসিকভাবে নৌপথবহুল একটি দেশে এভাবে ক্রমেই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি অস্বাভাবিক। স্বাভাবিক হচ্ছে- যত দিন যাবে; দক্ষতা, নজরদারি ও উৎকর্ষ বাড়তে থাকবে এবং ক্রমেই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমতে থাকবে। দুর্ভাগ্যবশত সেটা ঘটেনি। বরং নৌ দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ক্ষেত্রে যোগ হলো নতুন মাত্রা। নৌপথে পানির বিপদের সঙ্গে যোগ হলো আগুনের আপদ। কবি হেলাল হাফিজ 'যে জলে আগুন জ্বলে' লিখেছিলেন ভিন্ন প্রেক্ষিতে। অভিযান-১০ অগ্নিকাণ্ড সেটার নতুন প্রেক্ষিত তৈরি করল।


ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে 'অভিযান-১০' যাত্রীবাহী লঞ্চটিতে যেন 'নরক' নেমে এসেছিল। বিভিন্ন ধর্মীয় শাস্ত্রে নরকের যে বর্ণনা রয়েছে, তাতে একই সঙ্গে আগুনের উত্তাপ ও বরফের শৈত্য শাস্তি হয়ে নেমে আসে। পৌষের মধ্যরাতে কুয়াশাঘেরা সুগন্ধা নদীতে চলমান লঞ্চটিতে যখন আগুন লাগে, তখন বেশিরভাগ যাত্রী ছিল গভীর ঘুমে। শীতের কাপড়-চোপড় জড়িয়ে। শীত থেকে বাঁচতে নিচতলা ও দোতলার ডেকও ছিল পর্দাঘেরা। এর মধ্যে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে যাত্রীদের দিশেহারা হওয়াই স্বাভাবিক। আগুন লাগলে পড়ি-মরি ছুটে বেরিয়ে যাওয়ার 'সুযোগ' থাকে। এ ক্ষেত্রে তাও ছিল না। ওপরে আগুন নিচে শীতল স্রোতস্বিনী। দুই দিকেই মৃত্যুর হাতছানি। এমন পরিস্থিতি অন্তত নৌপথে আগে কখনও দেখা যায়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

মনের ক্ষত সারবে কবে

কালের কণ্ঠ | শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট
২ বছর, ৩ মাস আগে

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us