করোনার সাথে এবার যোগ হচ্ছে নদীর তীব্র স্রোত। এতে আবারও গতি কমে আসছে পদ্মাসেতুর কাজে। স্রোতের কারণে এর মধ্যে স্থগিত করা হয়েছে ৩২ নম্বর স্প্যান বসানোর কাজ। সামনের দিনগুলোতে স্রোত বাড়লে গতি আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সব মিলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারায় আরেক দফা বাড়তে পারে প্রকল্পের মেয়াদ। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর কাজ শেষ হয়েছে ৮৯ ভাগ আর পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৮০ দশমিক ৫ ভাগ।
করোনার দিনগুলোতে নানা প্রতিকূলতায় গতি কমে এসেছে, তবে একদিনের জন্যও থামেনি কাজ। সেটার প্রতিফলন এখন জাজিরা প্রান্তে। যতদূর চোখ যায় নদীতে বসে গেছে স্প্যান। জাজিরা থেকে শুরু করে মাঝনদী পর্যন্ত টানা ২৯টি স্প্যানে দৃশ্যমান এখন সোয়া ৪ কিলোমিটারের বেশি সেতু।
বাকি আছে মাত্র ১০টি স্প্যান বসানো। আলো ঝলমল আকাশে আশার নতুন সূর্য উঁকি দিচ্ছে। তবে এবার আরেক প্রতিকূলতা। নদীতে পানির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্রোতের গতি। গত ৪ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা বলে, বর্ষার এ সময়টায় সবচে কম হয় কাজ। এবারও সেটা হচ্ছে। পরিকল্পনা ছিলো জুনের শেষ দিকে ৩২তম স্প্যান বসানোর। সাধারণত প্রতি সেকেন্ডে ১ দশমিক ৫২ মিটারের বেশি স্রোত হলে স্প্যানবাহী ক্রেনটি চালানো যায় না। সেখানে নদীতে এখন স্রোত ২ দশমিক ২ মিটার। সব প্রস্তুতি সেরে স্প্যানটি ক্রেনে তোলার পরও সেটিকে আবার ইয়ার্ডে ফিরিয়ে আনা হয়। সব মিলে প্রকল্পের কাজ ব্যাহত হচ্ছে নানা প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায়।