মাদক মামলায় ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ১ এপ্রিল এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রবিউল আলম এই আদেশ দেন। এর আগে কারাগার থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগ গঠনের সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গত বছরের ১৭ নভেম্বর অভিযোগপত্র দেয় র্যাব। এ মামলার আসামির বাসা থেকে ৫৮০ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। উদ্ধার করা হয় মাদক বিক্রির ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা। মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ঢাকা মহানগর যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ২০১২ সালে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তখন থেকে খালেদ বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলেন। ঢাকার মতিঝিলের ইয়ংমেন ক্লাব, আরামবাগ ক্লাবসহ ফকিরাপুলের অনেক ক্লাবে ক্যাসিনোর আসর বসিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসাসহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলেন তিনি। এসব অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। খালেদ খিলগাঁও-শাজাহানপুর চলাচলকারী গণপরিবহন থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। কোরবানি ঈদের সময় শাজাহানপুর কলোনি মাঠ, মেরাদিয়া, কমলাপুর, সবুজবাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেখান থেকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করতেন।