চার বছর আগে ক্যাসিনো-কাণ্ডের ঘটনায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াসহ গ্রেপ্তার ১৩ জনের বিরুদ্ধে মোট ৫৭টি মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে ৫২টি মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সম্রাট ও খালেদের বিরুদ্ধে একটি করে দুটি ও জ্ঞাত আয়–বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা এনামুল হক ওরফে এনু, রুপন ভূঁইয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা তিন মামলাসহ মোট পাঁচ মামলার তদন্ত চার বছরেও শেষ হয়নি।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সম্রাট, একই সংগঠনের সহসভাপতি এনামুল হক ওরফে আরমান, ওই সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ, র্যাব ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মোট ৫৭টি মামলা করে। এর মধ্যে অস্ত্র, মাদক, বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ ক্ষমতা ও মানি লন্ডারিং আইনে ৩৪টি মামলা করে পুলিশ ও র্যাব। এ ছাড়া জ্ঞাত আয়–বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১২ জনের বিরুদ্ধে মোট ২৩টি মামলা করে দুদক। সিআইডি, দুদক, র্যাব ও ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তদন্ত শেষে ৫২ মামলার অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে দুদকের ২৩টি মামলার মধ্যে ২০টির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এনু, রুপনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়–বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা বাকি তিন মামলার তদন্ত শেষ হয়নি।