হঠাৎ পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের মুখে পড়লে নৌকা থেকে সবাই বিলের মধ্যে লাফিয়ে পড়ে। তখন মায়ের কোলে থাকা ৯ দিনের ছোটবোনটি কাদায় পড়ে যায়। কিন্তু আতঙ্কে তাকে সেখানে ফেলে রেখেই সরে পড়তে হয় অন্যদের।
পাকিস্তানি বাহিনী চলে গেলে মুমূর্ষ অবস্থায় শিশুটিকে খুঁজে বের করা হয়, প্রাণে বেঁচে গেলেও অনীশ মণ্ডলের বোনটি আজও সুস্থ হননি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় শরণার্থী হিসাবে যাত্রাপথের সেই ভয়াবহতার কথা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছিলেন বরিশাল নগরীর অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষক অনীশ মণ্ডল।
১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল মাত্র আট বছর। সে সময় তাকে পরিবারের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। ‘একাত্তর: শৈশবের শরণার্থী’ নামের একটি বইয়েও কষ্টকর সেসব স্মৃতি তিনি লিখেছেন।
একাত্তরের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যাওয়ার পর তখনকার পূর্ব পাকিস্তানে শুরু হয় পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতা। প্রাণ বাঁচাতে বিভিন্ন পথে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করে লাখো মানুষ।
অনীশ মণ্ডলদের একান্নবর্তী পরিবার তখন থাকত খুলনার ডুমুরিয়া ঘোনা গ্রামে। তার বাবা অশোক মণ্ডল ছিলেন খুলনা সেন্ট জোসেফ স্কুলের শিক্ষক।