একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বলেছেন, ‘আমি জানতাম যে আমাকে পদত্যাগ করতে হবে। এটাও জানতাম যে শিক্ষার্থীরা আমার অফিস ঘেরাও করবে এবং তারা আমাকে খোঁজাখুঁজি করছে। ফলে আমি পদত্যাগপত্র সাইন করে অফিসে পাঠিয়ে দিই। কিন্তু ওরা এতে সন্তুষ্ট হয়নি। তারা চাচ্ছিল আমি যেন তাদের সামনে গিয়ে পদত্যাগ করি।
বিবিসি বাংলাকে কথাগুলো বলছিলেন তিনি। নিরাপত্তার কারণে এবং ‘আবারো হয়রানির ভয়ে’ তিনি নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি।
ওই শিক্ষক বলেন, ছাত্রদের হাতে ‘অপমানিত হওয়া’ ঠেকাতে তিনি বিভাগে যাওয়ার সাহস করেননি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তাকে অফিসে যাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল।
তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, তারা ভিডিও করবে এবং সেখানে গেলে যে কোনো একটা খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তাই শেষ পর্যন্ত আমি যেতে রাজি হইনি।
নাম-পরিচয় নপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই শিক্ষক বলেন, তিনি আওয়ামী লীগ পন্থি নীল দলের সদস্য এবং শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশ নেননি এসব অভিযোগেই তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। আমি আমার পদত্যাগ মেনে নিয়েছি। তারা আমার অফিস পর্যন্ত গিয়েছে এতে সমস্যা নাই। কিন্তু আমার বাসায় কেন আসবে? আমার পরিবার কেন টার্গেট হবে?