পদত্যাগ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পলায়নের আগে নিজেদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা প্রয়োগ করে পুলিশ বাহিনী। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে সম্মুখসারিতে থেকে গুলি চালায় তারা। রোষানলে পড়ে প্রাণ হারান অর্ধশত পুলিশ সদস্য। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থানায় পুলিশ দায়িত্ব পালনে অস্বীকৃতি জানানোয় কার্যত স্থবির হয়ে পড়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই মাসে পুলিশ দায়িত্বে ফিরলেও স্বাভাবিক হয়নি সে অবস্থার। একের পর এক হামলা, পিটিয়ে হত্যা, ভাঙচুর, কারখানায় অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটছেই। শ্রমিক আন্দোলনও মাথা চাড়া দিয়ে আছে। মাজার, আখড়ায় একের পর ভাঙচুর চালালেও কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। ভেঙে পড়েছে দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাও। শেষ পর্যন্ত সেনাবাহিনীসহ তিন সশস্ত্র বাহিনীর কমিশনপ্রাপ্তদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।