দিনকয়েক পরই খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিন। প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে খ্রিষ্টধর্মালম্বীরা দিনটি উদ্যাপন করেন। তবে তারও আগে থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গির্জা খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, দোকানপাট সেজে ওঠে ঝলমলে ক্রিসমাস ট্রি ও রঙিন বাতির আলোকসজ্জায়। সঙ্গে থাকে ক্রিসমাস ক্যারলের সুর আর থলেভরা উপহার নিয়ে হাজির হওয়া সান্তা ক্লজ। ক্রিসমাস ট্রি থেকে সান্তা ক্লজের পোশাক, বড়দিনের আয়োজনে দেখা যায় লাল ও সবুজ রঙের প্রাধান্য। এর কারণ শুধু রং দুটি একসঙ্গে দেখতে ভালো লাগে, তা নয়, এর পেছনেও রয়েছে ইতিহাস।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্পাইক বাকলো বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি মনে করেন, বড়দিনের লাল-সবুজ রঙের উদ্ভব হয়েছে মধ্যযুগে। এই রংগুলো ব্যবহারের পেছনে রয়েছে প্রতীকী অর্থও। যা শুরু হয়েছে বেশ আগে। প্রাচীন কেলটিক জনগোষ্ঠীর মানুষ লাল ও সবুজ রঙের গাছের প্রতি বিশেষ সম্মান প্রদর্শন করতেন। তাঁরা বিশ্বাস করতেন, এই গাছগুলো শীতের রুক্ষতার মধ্যেও পৃথিবীকে সতেজ ও সুন্দর রাখে। এই গাছগুলোকে সুরক্ষা এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন তাঁরা।
মধ্যযুগের গির্জাগুলোয় সচরাচর লাল-সবুজ রঙের পর্দা ঝুলতে দেখা যেত। ধারণা করা হয়, সে সময় এই রংগুলো খুব সহজে পাওয়া যেত বলেই তখন ব্যবহৃত হতো। তবে এর মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে বড়দিনের আয়োজনে লাল ও সবুজ রঙের ব্যবহারের প্রসার ঘটতে থাকে। এরপর ভিক্টোরীয় যুগের (১৮৩৭-১৯০১) লোকজন বড়দিনের সজ্জায় লাল-সবুজ থিমের ব্যবহার অব্যাহত রাখেন।