বন্যায় কুমিল্লার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বুড়িচংয়ের শিকারপুর গ্রামে একটি পরিবারের ১০ সদস্য বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে বাড়ির তিনতলা ছাদে আটকা পড়ে আছেন। শনিবার পর্যন্ত তাদের কেউ উদ্ধার করতে যায়নি।
দুপুরে ওই পরিবারের সদস্য কুমিল্লা শহরের বাসিন্দা নাজমুল হোসেন বলেন, “সামান্য একটু খাবার পানি নিয়ে বাড়ির ছাদে আমার ভাই মো. লিটন ও পরিবারের ১০ জন সদস্য আটকে আছেন। তাদের দুদিনেও উদ্ধার করতে পারিনি। শনিবার সকাল পর্যন্ত তারা আমার সঙ্গে কথা বলতে পেরেছেন। তিনতলার ছাদে থাকায় পানি এখনও তাদের স্পর্শ করতে পারেনি।
“তবে মোবাইল ফোন বন্ধ হওয়াতে এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। শিকারপুর যেখানে আমাদের বাড়ি সেখানে যোগাযোগব্যবস্থা একেবারেই নেই বললেই চলে। সব পানিতে ডুবে আছে। কেউ যেতে পারছে না।”
নাজমুল নিজেও বন্যার্তদের উদ্ধারে কাজ করছেন, ত্রাণ দিচ্ছেন; অসহায়ের মত তিনি বলছিলেন, “আমি মানুষকে উদ্ধার করছি, কিন্তু আমার পরিবারকে উদ্ধার করতে পারছি না। শিকারপুরের দিকে কোনো নৌকা যাচ্ছে না। সেদিকে স্রোত বেশি হওয়াতে যেতে সমস্যা হচ্ছে।”