কোটা সংস্কার আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেওয়ার পর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা আন্দোলনকারীদের দখলে ছিল। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারীদের মোকাবিলার ঘোষণা দেওয়া হলেও তাদের খুব একটা মাঠে দেখা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সাংগঠনিক দুর্বলতার বিষয়টি ব্যাপকভাবে সামনে আসে। তাই নিজেদের এসব দুর্বলতা চিহ্নিত করে দ্রুত তা কাটিয়ে ওঠার নির্দেশনা দেওয়া হয় নেতাদের।
গতকাল মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতা, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৈঠক সূত্র বলেছে, বেলা আড়াইটা থেকে শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষ হয় সাড়ে ৩টার দিকে। বৈঠকে অংশ নেওয়া কমপক্ষে ১০ জন সদস্য জানান, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে নেতা-কর্মীদের ব্রিফ করেন সাধারণ সম্পাদক। তিনি ছাড়া আর কেউ বক্তব্য দেননি।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ রকম সহিংসতা সামনেও হতে পারে। তাই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। যেসব এলাকায় মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের দুর্বলতা আছে তা ঠিক করতে হবে। উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, রামপুরা এলাকায় সহিংসতা করার সুযোগ কেন বেশি পেয়েছে আন্দোলনকারীরা, সেখানে দলের ব্যর্থতা আছে কি না তাও কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাতে বলেছেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে যাতে ঐক্যবদ্ধভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, সেই বিষয়ে নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।