ঢাকা থেকে চলাচলের প্রায় সব মহাসড়ক চার লেন হয়েছে। স্বাচ্ছন্দে৵ যাতায়াতের জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে নির্মিত হয়েছে উড়ালসড়ক ও সার্ভিস লেন। যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে ঢাকা–টাঙ্গাইল ও ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়কের ১১টি উড়ালসড়ক। বিআরটি প্রকল্পের কাজও শেষের দিকে। এ ছাড়া ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে ঈদের আগে–পরে ছয় দিন মহাসড়কে ট্রাক, ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। এত উন্নয়ন প্রকল্প ও সিদ্ধান্তের পরও এবারের ঈদযাত্রায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মানুষকে। যাত্রার শুরুটা স্বস্তিদায়ক হলেও শেষ দুই দিন ছিল চরম দুর্ভোগের।
ঈদে সড়কে দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ঈদে একসঙ্গে অনেক মানুষ গ্রামে যান। তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে দূরপাল্লার শত শত যানবাহনের পাশাপাশি পুরোনো বাস মেরামত করে সড়কে নামানো হয়। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও মহাসড়কে যানবাহন বিকল হয়ে যাওয়ায় যানজটসহ নানা সংকট দেখা দেয়। তবে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা, ঈদের আগে অল্প সময়ের ব্যবধানে মহাসড়কে লাখো মানুষের ঢল, মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলসহ নানা কারণে যানজট তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজকেও দুষছেন কেউ কেউ।
গাজীপুর সড়ক ও পরিবহন চালক সমিতির সভাপতি সুলতান সরকার প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক উন্নয়নে অনেক কাজ হলেও গাজীপুরে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় ভুল বিআরটি প্রকল্প। এর কারণে ফুটপাত কমে যাওয়ায় মানুষ সড়কে নেমে যাচ্ছে। কাজ বাকি থাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ জন্য ঈদের সময় কিছু পয়েন্টে যানজট তৈরি হচ্ছে।