দিনমজুর গোপাল টুডুর স্ত্রী কৃষ্ণা টুডু (২৪)। কিছুদিন আগে মা হয়েছেন কোনোরকম অস্ত্রোপচার ছাড়াই। হাসপাতাল, চিকিৎসক, সেবিকা, মিডওয়াইফ, ওষুধ–পথ্য কোনো কিছুর অভাব হয়নি। নবজাতক নিয়ে হাসপাতালও ছেড়েছেন হাসতে হাসতে। কারণ, সন্তান প্রসবের জন্য কোনো টাকা খরচ করতে হয়নি তাঁকে। উল্টো হাসপাতাল ছাড়ার আগে বিনা মূল্যে মাসখানেকের ওষুধ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কৃষ্ণা টুডুর মতো এমন আরও কয়েক শ নারীর গল্পটা এমন আনন্দের। তাঁরা সবাই নওগাঁর সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মিডওয়াইফদের নিবিড় পরিচর্যায় ছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা নারীদের স্বাভাবিক প্রসবসেবা দিয়ে খুশি হাসপাতালটির মিডওয়াইফরাও। একেকটা স্বাভাবিক প্রসবের খবরে হাসপাতালজুড়ে আনন্দ বয়ে যায়। মিডওয়াইফদের মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলে কে কজন সুস্থ, স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করাতে পারলেন।
নিরাপদ মাতৃত্ব, মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমাতে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাভাবিক প্রসবকে রীতিমতো উৎসবে পরিণত করেছে এই হাসপাতাল। প্রতি মাসে সর্বাধিক স্বাভাবিক প্রসব করানো মিডওয়াইফকে পুরস্কৃত করা হয় এখানে। দেওয়া হয় ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য মান্থ’ খেতাব। গত এক বছরে হাসপাতালটিতে ৬১৪ জন অন্তঃসত্ত্বার স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে।