দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ মাকেই শিশুকে ফর্মুলা দুধ পান করানোর পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। অথচ তাঁদের ৯৮ শতাংশই শিশুকে বুকের দুধ দেওয়ার পক্ষে। তবে ফর্মুলা দুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর আগ্রাসী বিপণন কার্যক্রম ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শে সিদ্ধান্ত বদলে যায়।
এই তথ্য উঠে এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘ শিশু তহবিলের (ইউনিসেফ) এক জরিপ প্রতিবেদনে। জরিপে অংশ নেওয়া বাবা-মা ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ৫১ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা ফর্মুলা দুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর বিপণন কার্যক্রমে প্রভাবিত হয়েছেন। ‘ফর্মুলা দুধের বিপণন কীভাবে শিশুকে খাওয়ানোর বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করে’ শীর্ষক এই প্রতিবেদন করা হয়েছে বাংলাদেশসহ আটটি দেশে বাবা-মা, অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের ভিত্তিতে। অন্য সাতটি দেশ হলো চীন, মেক্সিকো, মরক্কো, নাইজেরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনাম।
জরিপে দেখা গেছে, অনৈতিক বিপণন কৌশল ব্যবহার করে ৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ফর্মুলা দুধের এই বাজার টিকিয়ে রাখতে বাবা-মায়েদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করছে কোম্পানিগুলো। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ৬৫ শতাংশ নারী তাঁদের সন্তানকে পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধ খাওয়ান। প্রায় ৬০ শতাংশ নারীকেই ফর্মুলা দুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে এই নারীদের ৯৮ শতাংশই শিশুকে শুধু বুকের দুধ খাওয়ানোর ইচ্ছার কথা জানান।