বামপন্থী লেখক, গবেষক ও রাজনীতিবিদ বদরুদ্দীন উমর। সম্প্রীতি দেওয়া সাক্ষাৎকারে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। বদরুদ্দীন উমরের একান্ত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দ্য ডেইলি স্টারের অনন্ত ইউসুফ, প্রিয়ম পাল ও শামসুদ্দোজা সাজেন।
রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যাপক দমন-পীড়নের মুখেও সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থান কীভাবে সফল হলো?
অতীতে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি গণআন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। যেমন: ১৯৫২, ১৯৬৯, ১৯৭১ ও ১৯৯০ সালে। এ বছর আমরা যে দমন-পীড়নের সম্মুখীন হয়েছি, তা সম্ভবত ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের সময়কার চেয়েও বেশি। আমরা ১৯৭২ সাল থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছি এবং ২০০৮ সাল থেকে শেখ হাসিনার শাসনামলেও তা করেছি। তবে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলকে একাধিক কারণে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়।
সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিচার বিভাগের মাধ্যমে শেখ হাসিনা তার কর্তৃত্ববাদী শাসন টিকিয়ে রেখেছিল। যে কারণে সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগকে ভুগতে হয়েছে। এ ছাড়া, দলের শীর্ষ নেতাদের যেন দেশ লুটপাটের লাইসেন্স দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ফলে তারা প্রতারক ও অবিশ্বস্ত দলে পরিণত হয়। প্রকৃতপক্ষে, এটি শেষ পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদেরকে রাজনৈতিক আদেশ ও প্রতিশ্রুতিকে অগ্রাধিকার না দেওয়ার দিকে পরিচালিত করেছিল। শেখ হাসিনার শাসনামলে ইউনিয়ন ও গ্রামপর্যায়ের কয়েকজন রাজনীতিবিদও কোটি কোটি টাকা আয় করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর সম্পদের পরিমাণ ৩০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি বলে জানা গেছে।