স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনাজনিত মৃত্যুর দায় কার

ঢাকা পোষ্ট সৈয়দ আব্দুল হামিদ প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৪:০৯

স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনা এবং বিশৃঙ্খলাজনিত মৃত্যু এবং পঙ্গুত্ব ক্রমেই বাড়ছে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এর পক্ষে কোনো অজুহাত দাঁড় করানোর সুযোগ নেই। স্বাস্থ্যসেবার মতো জীবন ঘনিষ্ঠ এবং মৌলিক বিষয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরতে এবং গুণগত মানোন্নয়নে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। সুন্নাতে খৎনা করতে গিয়ে বারবার শিশু মৃত্যু কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যখাত নিয়ে দীর্ঘদিনের হেলাফেলা, অবহেলা এবং ভুল নীতির ফলে সৃষ্ট তিক্ত এবং বিষাক্ত ফল। তবে এর বহিঃপ্রকাশের শুরু মাত্র।


দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা এবং বিশৃঙ্খলার ফলে স্বাস্থ্যখাতের ক্ষত এতটাই গভীর এবং দগদগে, যা কোনো মলমে সারার উপযোগ্য নয়। সমস্যা এখন হিমালয় পর্বতসম। এখনই লাগাম টেনে ধরতে না পারলে কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা জাতি এখনও আঁচ করতে পারছে না। 


তবে কেন এই বিশৃঙ্খলা এবং অব্যবস্থাপনা? এটা নিশ্চয়ই আমাদের অর্থ সংকটের জন্য নয়। এ দেশের মানুষ প্রতিবছর এক লাখ হাজার কোটি টাকা স্বাস্থ্যসেবার জন্য খরচ  করে। আর সরকার খরচ করছে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। এই পরিমাণ অর্থ দিয়ে উন্নত বিশ্বের মতো সেবা দেওয়া সম্ভব। 


বিশৃঙ্খলা এবং অব্যবস্থাপনার প্রধান কারণ হলো আমাদের নীতি-নির্ধারণী মহলের স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যখাত এবং এই খাতের ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে নিখাদ এবং সামগ্রিক ধারণার অভাব। স্বাস্থ্যখাতের অবয়ব, কলেবর, কাঠামোগত জটিলতা এবং ক্রমাগত পরিবর্তনশীলতাসহ বহুমুখী বৈশিষ্ট্য আমাদের নীতি-নির্ধারণী মহলের নিকট সমন্বিতভাবে বোধগম্য নয়। তাদের চিন্তা-চেতনা হাতুড়ের মতো। ফলে, তারা স্বাস্থ্যখাতকে অন্যান্য খাত থেকে আলাদা হিসেবে ভাবতে পারেন না। তারা ভাবতে পারেন না যে মেডিকেল শিক্ষা সাধারণ শিক্ষার মতো নয়। মেডিকেল শিক্ষাকে তারা মাধ্যমিক শিক্ষার মত মনে করে। 


উল্লেখ্য, সাধারণ শিক্ষার একজন শিক্ষার্থী যদি কিছু না শিখে পাস করে তাতে জাতির তেমন ক্ষতি হয় না। তবে মেডিকেল শিক্ষার ক্ষেত্রে এরূপ হলে তার হাতে জাতি কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। যেনতেনভাবে জোড়াতালি দিয়ে মেডিকেল শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা যে জাতির জন্য কতটা আত্মঘাতী তা তাদের ধারণায় নেই। তাই তারা সরকারি ও বেসরকারি খাতে যত্রতত্র  মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার অনুমতি দিয়েছে। সেখানে উপযুক্ত শিক্ষক, ইন্টার্নশিপের জন্য হাসপাতাল, থাকার জন্য হোস্টেল কিংবা লেখাপড়ার পরিবেশ কোনোটাই নেই। গত প্রায় দুই যুগ ধরে গড়ে ওঠা এসব হাতুড়ে মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এক প্রকার হাতুড়ে চিকিৎসক তৈরি করছে। আর কোনো নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ব্যাঙের ছাতার মতোত গজিয়ে ওঠা ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক কেন্দ্র ও হাসপাতাল মালিকদের অতি মুনাফা লোভীতার বদৌলতে এই হাতুড়ে চিকিৎসকরা আজ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে দেশ ও জাতি আজ হাতুড়ে চিন্তায় প্রতিষ্ঠিত, হাতুড়ে মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করা আধুনিক হাতুড়ে চিকিৎসকদের কবলে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us