নিয়ম রক্ষার নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরা কৌশলে আরও ৫ বছর ক্ষমতায় থাকার ম্যান্ডেট নিয়ে নিলেন। নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ নির্বাচনকে বলা হয়েছে বিতর্কিত, একতরফা। নির্বাচন বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয় হলেও ক্ষমতাসীনদের ওপর বিশ্ব পরাশক্তির প্রবল আগ্রহ ও চাপ ছিল। সেগুলো উপেক্ষা করেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
এই নির্বাচন দেশের ভেতরে যেমন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সমর্থিত হয়নি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে পরাশক্তিসমূহ স্পটত দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের পরপরই ভারত, রাশিয়া, চীন, পাকিস্তানসহ বেশকিছু দেশ টানা চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে এবং নির্বাচন নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনের সমালোচনা করেছে এবং এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নির্বাচন-পরবর্তী বিবৃতিতে তিনটি বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রথমত, বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার জন্য জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীদলের হাজার হাজার কর্মী গ্রেপ্তার এবং নির্বাচনি অনিয়মে তারা উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে, নির্বাচনটি অবাধ বা সুষ্ঠু ছিল না।
দ্বিতীয়ত, নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করায় ওয়াশিংটন ‘দুঃখিত’। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলকে সহিংসতা পরিহারের আহ্বান জানায় তারা।
তৃতীয়ত, মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নীতি এগিয়ে নিতে এবং জনগণের সঙ্গে জনগণের এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীরতর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। (মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইট, ৮ জানুয়ারি ২০২৪)