নির্বাচনে অংশ না নিয়েও এই নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলো বিএনপি। অদৃশ্য প্রার্থিতা ছিলো প্রতিটি আসনে। সবশেষে জয়-পরাজয় চোখের সামনে। বিএনপি ভোটের দিনই তাদের বিজয় ঘোষণা করেছে। বলেছে, জনগণ নির্বাচন বর্জন করার মাধ্যমে তাদের অসহযোগ আন্দোলন সফল করে দিয়েছে।
আওয়ামী লীগ আকাশচুম্বী বিজয় লাভ করেছে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে। প্রথাগতভাবে বিএনপি এই বিজয়কে পাতানো নির্বাচনের ফল বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনের পরদিন সোমবার সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে,তারা নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচন চান।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে নির্বাচনের সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। নির্বাচনে ভোট কম পড়লেও স্বচ্ছ-সুন্দর নির্বাচন হয়েছে এমন মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকগণও। ভোটার উপস্থিতি বিষয়ে তাদেরও একই মত। একইসঙ্গে প্রায় সবাই বলেছেন,গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটার সংখ্যা নির্ধারিত না থাকায় নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলতে বাধা ছিলো না।
বিএনপি যে যুক্তরাষ্ট্রকে ভরসাস্থল মনে করেছিলো, সেই মার্কিন দেশীয় পর্যবেক্ষক জিম বেটস বলেছেন, ‘আমি শান্তিপূর্ণ,অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট দেখেছি’। ফিলিস্তিনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসাম খুহাইল বলেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের জন্য ভোটদানের পদ্ধতিটি খুবই সাধারণ ও সহজ ছিলো।
প্রতিটি ভোট দেওয়ায় সময় লেগেছে ১.১৫ সেকেন্ড থেকে আড়াই সেকেন্ড,যা প্রশংসীয়ভাবে দক্ষ এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের। কত শতাংশ ভোট পড়ল সেটা রাজনীতির বার্তা, আমাদের জন্য নয়।’ওআইসি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের প্রধান শাকির মাহমুদ বন্দর বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সুসংগঠিত ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে।’ একই মনোভাব ব্যক্ত করেছেন স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির রাজনীতিবিদ ও এমপি মার্টিন ডে, আরব পার্লামেন্টের সদস্য আবদিহাকিম মোয়াল্লিম ও অন্যরা।