কাল সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের মধ্য দিয়ে যে বছরটি কালের গর্ভে হারিয়ে গেল বাংলাদেশের মানুষের জন্য সে বছরটি ভালো কাটেনি। খেলাধুলা, রাজনীতি, অর্থনীতি, রাজনীতি- কোনো ক্ষেত্রেই বছরটি ভালো কাটেনি। ক্রিকেটে বাংলাদেশ মোটামুটি নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে পেরেছে। তবে গেল বছরে বাংলাদেশ যেন ক্রিকেট খেলতেই ভুলে গেল। ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যেন ক্রিকেট খেলতেই ভুলে গেল। তবে ক্রিকেটের এই দুঃসময়ের কারণ যতটা মাঠের পারফরম্যান্স তারচেয়ে বেশি মাঠের বাইরের। বাংলাদেশের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে মাঠে।
ক্রিকেট আমাদের হাসায়, কাঁদায়, ঐক্যবদ্ধ করে। তবে ক্রিকেটের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে রাজনীতি ও অর্থনীতি। আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে অর্থনীতি। আওয়ামী লীগ টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দেশের অর্থনীতি দারুণ মোমেন্টাম পেয়েছিল। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি টানেল, সাবমেরিন, স্যাটেলাইট, পারমাণবিক বিদ্যুৎ- অনেক নতুনের সাথে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
শুধু অবকাঠামো নয়; স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়নেও অভাবিত উন্নয়ন হয়েছে। রিজার্ভ, জিডিপি, মাথাপিছু আয়; সব সূচকেই বাংলাদেশের উন্নতি ছিল বিস্ময়কর। তবে গেল বছরে অর্থনীতির গতি ধাক্কা খায় মারাত্মকভাবে। ধাক্কার শুরুটা হয়েছিল কোভিড আমলে। শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকেই ধাক্কা দিয়েছিল কোভিড। তবে নানান উদ্ভাবনী চেষ্টায় কোভিডের ধাক্কা কাটিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সেই ঘুরে দাঁড়ানোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আসলে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকেই টালমাটাল করে তুলেছে।