নওগাঁর ইমরান হোসেন মিলন ঢাকা থেকে বাড়ি যাবেন। প্রথমে ভেবেছিলেন ট্রেনে যাবেন। তবে গত কয়েকদিনে কয়েকটি রেল দুর্ঘটনার পর সিদ্ধান্ত পাল্টে বাসের টিকেট কেটেছেন।
এর মধ্যে ভোরে গাজীপুরে রেল লাইন কেটে দেওয়ার পর ট্রেন দুর্ঘটনার খবর জেনে বুধবার সকাল বেলাতেই শ্বশুর ফোন করে তাকে বলেছেন, “ট্রেনে আসবা না, খুবই ভালো করেছ।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মিলন বলেন, “আজকের যে ঘটনা, তা তো খুবই ভয়াবহ। যদি ট্রেনটা বেশি গতিতে থাকত আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। ঘটনাটি জেনে আমার গায়ে কাঁটা দিয়েছে সকালে। আমার মনে হয়েছে অন্য কোনো দেশে আন্দোলন আর কর্মসূচি যাই হোক না কেন, অন্তত রেলের ওপর কেউ হাত দেয় না।”
বুধবার ভোরে গাজীপুরের সংবাদকর্মীদের ঘুম ভাঙে ফোনে। তারা জানতে পারেন, জয়দেবপুরের পরে ভাওয়াল স্টেশনের অদূরে বনখড়িয়া এলাকায় ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। রেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর তারা দুর্ঘটনার যে তথ্য দেন, তা জেনে ভয় লাগে অনেকের।
দুর্ঘটনার কারণ ছিল রেলের পাত পুরোপুরি কেটে দেওয়ায়। ওই লাইনের অন্তত ২০ মিটার অংশ কেটে রাখা হয়েছে। রাতের আঁধারে নির্জন এলাকায় কেউ বা কয়েকজন লোক এ কাজ করেছেন। পরে পুলিশ জানায়, অক্সি-অ্যাসিটিলিন গ্যাস শিখা দিয়ে লাইনের উভয় পাতই কাটা হয়েছে।