আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশে তিন জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি), দুই বিভাগীয় কমিশনার ও পাঁচ জেলার এসপি পদে পরিবর্তন করেছে সরকার। দেশব্যাপী আরও ডিসি-এসপিদের নিয়ে স্বপ্রণোদিতভাবে তদন্তে নেমেছে ইসি। পাশাপাশি ‘নজরদারিতেও’ রাখা হচ্ছে তাদের। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর একাধিক প্রার্থী ডিসি-এসপিদের নামে অভিযোগ দিয়েছেন। এসব অভিযোগও আমলে নিয়ে তদন্তে নেমেছে ইসি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইসির তদন্তে যদি প্রমাণ হয় এসপি-ডিসি কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করছেন, তবে বদলি করা হবে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটের মাঠে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে, ডিসি-এসপিদের এমন কোনো আচরণ দেখা গেলে দ্রুত সময়ে বদলি করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় না দিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত বিষয়টি চলমান রাখতে চায় ইসি।
এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জাগো নিউজকে বলেন, ডিসি-এসপিদের বদলি এখন নতুন কিছু না, চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনের চোখে নিরপেক্ষ না হলে বা কোনো প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে কাজ করলেই প্রত্যাহার করা হবে। কোনো ডিসি-এসপির বিপক্ষে কোনো প্রার্থী অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করবো। তদন্তে যদি প্রমাণ হয় ওই ডিসি-এসপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন, তাহলে বদলি করা হবে। তদন্তে প্রমাণ হলেই আমরা ব্যবস্থা নেবো।
ইসি জানায়, যশোরের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রলয় কুমার জোয়ারদারের বদলির দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে লিখিত আবেদন করেছেন মনিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। এ বিষয়ে তদন্ত করছে ইসি। এমন একাধিক এসপির বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হয়েছে। তাদের বিষয়েও তদন্তে নেমেছে ইসি। মাঠপ্রশাসন ও পুলিশে আরও বড় ধরনের রদবদল চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরই অংশ হিসেবে দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে পৃথক চিঠি দেয় কমিশন।