একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে চরম ব্যর্থতার বিষয়ে এখন পর্যন্ত আমরা অনেক কিছুই লিখেছি। ক্ষমতাসীন দল বিরোধীদের—মূলত বিএনপি—সঙ্গে যে আচরণ করছে তা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেছি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, দলটির শত শত নেতাকর্মী কারাগারে, হাজারো নেতাকর্মীর নামে মামলা এবং লাখো নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ভিন্নমত পোষণকারীদের দমনে আইনি প্রক্রিয়াকে অস্ত্রে পরিণত করা হয়েছে। পুলিশকে জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে রাখা হয়েছে, যাতে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের শাস্তি দেওয়া যায়, হয়রানি করা যায় এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করা যায়। পুরো বিষয়টি অবিশ্বাস্য পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
কিন্তু মুদ্রার অপর পিঠের পরিস্থিতি কেমন? বিএনপি কি তার দলীয় কর্মী, কিংবা বর্তমান সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট ও আওয়ামী লীগের প্রতি মোহভঙ্গ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছে? তাদের প্রত্যাশার প্রতি সম্মান দেখাতে পেরেছে? নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত কি তারা সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নিয়েছে, নাকি নিজেরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে?
আমাদের ভোটাররা ঐতিহ্যগতভাবেই শাসক-বিরোধী মনোভাব পোষণ করে। আর সেইসঙ্গে যোগ হয়েছে আওয়ামী লীগের নিরন্তর ক্ষমতার অপব্যবহার, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে এটা অনুমান করা মোটেই অযৌক্তিক নয় যে মানুষ পরিবর্তন চাইছে। কিন্তু বিএনপি কি পরিবর্তন আনতে কাজ করছে?
আমাদের প্রতিবেদকদের দেওয়া তথ্য ও জরিপের ফলাফল—যা খারাপ পরিণামের ভয়ে প্রকাশ করা হয়নি—এবং কিছু গোয়েন্দা প্রতিবেদন সংক্রান্ত গুজব থেকে ধারণা পাওয়া যায় যে, বিরোধী দলের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন সর্বাত্মক না হলেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রয়েছে। কিন্তু বিএনপি এই সমর্থনকে ভিত্তি করে কী করেছে?