১৫ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। জাতীয় পার্টিসহ কিছু ছোট রাজনৈতিক দল এ পর্যন্ত নির্বাচনে আসার কথা বলেছে। তা ছাড়া ধারণা করা হচ্ছে যে বিএনপিতে ভাঙন ধরিয়ে বেশ কিছু নেতাকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে সমর্থ হবে আওয়ামী লীগ।
তবে এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পরিকল্পিত একতরফা নির্বাচনকে কোনোমতেই বৈধতার লেবাস পরানো যাবে বলে মনে হয় না। দেশে-বিদেশে এই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এ ধরনের চিন্তাভাবনা সরকার ও সরকারপ্রধানের জন্য বুমেরাং হবে। বিশেষত, বক্ষ্যমাণ কলামে বিষয়টির বৈদেশিক পরিপ্রেক্ষিতটিকে ফোকাস করা হয়েছে।
সম্প্রতি ডোনাল্ড লুর পত্র নিয়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্কে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে, তার সংলাপের আহ্বানকে আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে ২০২৩ সালের মে মাসে ঘোষণা দিয়েছিল, সম্প্রতি তারা বিষয়টি আবার সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছে। এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা একমাত্র পদক্ষেপ হবে বলে মনে হয় না। সম্ভবত আরও কিছু নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
প্রকাশ্যে না বললেও মার্কিন সরকার নিশ্চিত হয়েছে যে ২০১৮ সালের বাংলাদেশের সংসদীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার ব্যালট-কারচুপির আশ্রয় নিয়ে পুরো নির্বাচনব্যবস্থাকে লাইনচ্যুত করে ফেলেছিল। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যা করেছে সেটা ছিল লজ্জাজনক ব্যালট জবরদখল, যেটা মোটেও আবশ্যক ছিল না। অনেকে মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও আওয়ামী লীগ এবং মহাজোট বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করত। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং তাঁর উপদেষ্টারা জনগণের এই নাড়িস্পন্দন ধরতে পারেননি।