চট্টগ্রামের পাঁচটি আসনে নৌকা না পেয়ে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। আরও কিছু জেলায় দলের প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যেই অনেক পরিবর্তন ও নতুন মুখ এনে নিজেদের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দলটি।
মনোনয়ন ঘোষণার আগে দলের নেতাদেরকে গণভবনে ডেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বার্তা দিয়েছেন, সেটি হল- কোনো আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউকে বিজয়ী হতে দেখতে চান না তিনি।
২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনের মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীদের জয়ের কারণে এখনও বিরোধীদের কথা শুনতে হয় আওয়ামী লীগকে।
আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি ও তার সঙ্গে থাকা দলগুলো ভোট বর্জনের কথা বলছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ট্রেন যাত্রা শুরু করে দিয়েছে আগেই। কাদের নিয়ে এই লড়াই, তা প্রকাশ হলো রোববার।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ যে প্রার্থী বাছাই করেছে, তাতে আছে ছয় ডজনের মতো আনকোরা নতুন মুখ। গত নির্বাচনে প্রার্থী করা হয়নি কিন্তু অতীতে মনোনয়ন পেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অনেককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কয়েকজন বাদ পড়লেও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের অনেকেই এবারও নৌকার হয়ে নির্বাচনে লড়ার সবুজ সংকেত পেয়েছেন।
সব মিলিয়ে ১০৫টি আসনে প্রার্থী বদল করেছে আওয়ামী লীগ। বাদ পড়েছেন ৭১ জন সংসদ সদস্য, এদের মধ্যে তিনজন আবার প্রতিমন্ত্রী।