মহাসমাবেশ, হরতাল এবং পরবর্তী তিন দিনের অবরোধ শেষ হয়েছে গত সপ্তাহে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে আবার টানা দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি। এর শেষ কোথায়? নাকি ফিরে আসছে ২০১৩-১৪ সালের সেই ভয়াবহ-বীভৎস স্মৃতি? এই হরতাল-অবরোধের প্রতি সত্যিই কি মানুষের কোনো সমর্থন আছে? না এর মাধ্যমে টলবে সরকার? সত্যি বলতে কি, এটি বিএনপির দুর্ভাগ্য।
সরকার পরিবর্তনের যত আশা-আকাঙ্ক্ষাই মানুষের মনে থাকুক না কেন, এই ধ্বংসযজ্ঞে কোনো সাধারণ মানুষ আর জড়াতে চায় না। ধরপাকড়ের এই যে যন্ত্রণা, তা বড় বিভীষণ!
দলের অনেক নেতা-কর্মীরই যেখানে এ ধরনের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো, সেখানে কোনো সমর্থক বা সাধারণ মানুষ কোন বিবেচনায় সম্মুখ বিপদ মাথায় নিয়ে এই কর্মসূচিতে একাত্ম হবে?
তবে এই যন্ত্রণা যে পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে ছিল না তা নয়; বরং বেশিই ছিল। তখনকার কর্মী-সমর্থকেরা অনেকটা দলকানা ছিল। অন্ধ-আনুগত্যে দলের যেকোনো কর্মসূচিতে ঝাঁপিয়ে পড়ত। অবশ্য সুবিধাও ছিল। এখনকার মতো চারদিকে ক্যামেরা তাক করা থাকত না, যা থাকত তা কেবল সাংবাদিকদের। এখন সিসি ক্যামেরা তো আছেই, আছে সবার পকেটেই একটি করে ক্যামেরা। কোনো ঘটনা ঘটতে দেখলে উৎসুক মন সেই চিত্র ধারণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
ঘটনাটি কার পক্ষে-বিপক্ষে সে পরের কথা, নিজের আইডিতে পোস্ট করে বা করিয়ে ভিউ বাড়ানোই হয়ে ওঠে তখন আসল কাজ। ফলে কোনো একদিকে কিছু একটা ঘটে গেলে, সেটি আড়াল করার আর কোনো সুযোগ থাকে না। অবধারিতভাবেই ধরা পড়ে সেই ঘটনা সৃষ্টিকারী ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা। অবশ্য অনেক নিরীহ মানুষও কপাল মন্দ হলে ফেঁসে যায় এই আবর্তে।