ধর্ম, রাজনীতি ও বাঙালির দুর্গা

আজকের পত্রিকা চিররঞ্জন সরকার প্রকাশিত: ২৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৫৯

বর্তমান যুগে রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বেড়েছে। তাই বলে ধর্মও কিন্তু রাজনীতির বাইরে নয়। এক একটা ধর্মে, এক একটা ধর্মীয় আখ্যান তৈরি হয় রাজনৈতিক চিন্তা থেকেই। এমনকি দেবী দুর্গার আখ্যানও রাজনীতিমুক্ত নয়। এই রাজনীতি পুরুষের বা পুরুষতন্ত্রের রাজনীতি। একই সঙ্গে কৌশলে সামাজিক সাম্য বিনষ্ট করে উচ্চশ্রেণির আধিপত্য প্রতিষ্ঠারও রাজনীতি।


দুর্গাপূজাকে বলা হয় অকালবোধন। ঘুমন্ত দেবীকে অকালবোধন ঘটিয়ে জাগাতে হবে, এটা একেবারেই বাঙালি রীতি। বাল্মীকি বা তুলসীদাসে অকালবোধন পাওয়া যায় না। এটি কৃত্তিবাসী রামায়ণের নিজস্ব সংযোজন। গবেষকদের মতে, এর মধ্যেও সূক্ষ্ম রাজনৈতিক হিসাব ও মতলব আছে।


যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে নৃতত্ত্বের অধ্যাপক র‍্যালফ নিকোলাস অনেক গবেষণা করে দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী, জগদ্ধাত্রীপূজা এবং শারদীয় উৎসব নিয়ে ‘নাইট অব দ্য গড্স’ নামে একটি বই লিখেছেন। এই বইয়ে তিনি অভিনব সব বিশ্লেষণী মতামত তুলে ধরেছেন।


অধ্যাপক র‍্যালফ নিকোলাসের গবেষণামতে, দুর্গাপূজা ছিল প্রধানত জমিদারদের পূজা। তাতে সামাজিক স্তরবিভাজন পরিষ্কার ছিল। কাছারির সামনে দুর্গাদালানে পূজা হতো। কাছারিতেই জমিদার খাজনা নেবেন, প্রজাদের শাস্তিবিধান করবেন। ফলে সেখানেই হবে পূজা।


তিন দিন ধরে দুর্গার চোখে ধরা দেবে গ্রামসমাজের বিভিন্ন স্তরবিন্যাস। পুরোহিত পূজা করবেন, কর্মকার বলি দেবেন, মালাকার মালা গাঁথবেন। শেষে সবাই প্রসাদ পাবেন—এক সুতোয় বাঁধা থাকবে থাকবন্দি সমাজ। এই ধারা অনেক দিন বহাল ছিল।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us